ইফতা ভর্তি যুদ্ধ ২০১৭ এবং আমার ঈদ

লিখেছেন লিখেছেন জিহর ১০ জুলাই, ২০১৭, ০১:০৫:০৩ দুপুর



১.

আমার যতোদুর মনে আছে যে, মার্চে যখন দাখিল পরিক্ষা শেষ করে আম্মাকে বলেছিলাম ,আমি ইফতা ভর্তির প্রস্তুতি নিতে চাই...! তিনি আমার কথা বুঝতে পারেন নাই । ফলে, আমার তাৎখনিক প্রস্তুতি শুরু হলো না..!

.

যদিও গ্রামের বাড়িতে আমি হেদায়া ( ৩-৪ ) নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিভিন্ন কাজের চাপে, এবং দাখিল পরিক্ষা পরবর্তী ক্লান্তি কাটাতে আমি রাতের সময়টা অলস ভাবেই পার করতাম । এভাবেই চোখের সামনে থেকে মার্চ,এপ্রিল,মে পার করে জুন মাস শেষ হয়ে গেলো । এতো লম্বা সময়ে হেদায়া কয়েক খতম সমেত মুখস্ত করে ফেলাও সম্ভব। .

কিন্তু অলসতা কাউকে পেয়ে বসলে কিছুই করার থাকে না । অবশেষে যখন রমজান মাস চলেই এলো, আমার ততোক্ষণে টনক নড়েছে । আমি হেদায়া নিয়ে "বসলাম"...! কিন্তু কয়েক পৃষ্ঠা উল্টিয়েই বুঝতে পরলাম যে, পুরো কিতাবের পড়া কুলিয়ে উঠতে পারবো না ।



তখন Shakil Ahmed ভাইয়ের পরামর্শে যাত্রাবাড়ি একটা ভর্তি-কচিংএ গেলাম দিক নির্দেশনার জন্য । ৭ই রমজান., অথচ কচিং শুরু হয়েছিল রমজানের পাঁচ দিন আগেই...! এখানেও নিজের গাফলতি...!

যাই হোক, আল্লাহর বিশেষ রহমত ছিলো বোধয়, বন্ধু Abdullah All Kauser আমার ছুটে যাওয়া পড়া গুলো অনেকটাই ধরিয়েদিলো । কিন্তু ১১ই রমজানের থেকে ১৫ই রমজান পর্যস্ত জ্বর হলো, যেটা চিকুনগুনিয়া নামে প্রশিদ্ধি পেয়েছে ।

জ্বর থেকে মোটামুটি সুস্থির হতে হতে ১৮ রমজান শেষ ।

কোচিংএর অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ দরস (লেকচার) পেলাম না । তবুও যতটা পেয়েছিলাম, তা পূঁজি করে গেণ্ডারিয়ায় হযরত মুফতি আবু সাইদ সাহেবের (দারুল ফিকরি ওল ইরশাদ ) মাদ্রাসায় ভর্তি পরিক্ষা দিলাম । কোন লাভ না হলেও একটু অভিজ্ঞতা হলো । আসলে তাদের সিলেবাসে কোরআন,হাদিস, ফিকহা,উসুলুল ফিকহা সমন্বয়ে সব বিষয়ে পরিক্ষা হয়েছিল।

আর আমি শুধু শেষ দুটির প্রস্তুতি নিয়েছি ।

এরপর যে মাদ্রাসায় ভর্তি কোচিং করেছি সেখানে, অর্থাৎ দারুল মায়া'রিফ (যাত্রাবাড়ি) এ ভর্তি পরিক্ষা দিলাম । আলহামদুলিল্লাহ এখানে টিকেছিলাম । কিন্তু এক বছরের ইফতা হওয়ায় বাড়ির সবাই, বিশেষ করে বড়োভাই রাজি হলেন না । এমনকি পরিক্ষা প্রস্তুতিতে যেন কোন ত্রুটি না হয়, তাই ঈদে গ্রামের বাড়িতেও যাওয়া নিষিদ্ধ হলো ।

প্রথমে উত্তরায় ভাইয়ার অফিসে, পরে আলোচনা সাপেক্ষে মানিকগঞ্জ বড়ো আপুর বাসায় ঈদের অনুমতি মিললো ।

(বিঃদ্রঃ আমি উত্তরাতে ভাইয়ার অফিসে থেকে পরিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ।) মাওলানা,মুফতি সাব্বির আহমেদ সহেব, (মানে আমার অ-ঘষিত তা'লিমি মুরব্বি) এর এটাই ফয়ছালা ছিলো । তার কথা আমি প্রথমে মারকাজুদ দাওয়ায় ( যেখানে হেদায়ার শরাহ্ ফাতহুল কদিরের পরিক্ষা হয়, এবং ঐ কিতাবের সাথে আমার ৩/৪ বছর ধরে সম্পর্ক নেই ) ভর্তি পরিক্ষা দেব । তাকে নিজের অবস্থা বুঝিয়ে বললে তিনি মুফতি দেলোয়ার সাহেবের আকবরে, তারপর পর্যায়ক্রমে দুই রাহমানিয়া, বসুন্ধরা, মারকাজুল ইসলামিয়া, ফরিদাবাদ, আরজাবাদ সহো প্রথম সারির অনেক গুলো মাদ্রাসায় ভর্তি পরিক্ষা দেওয়ার নির্দেশনা দিলেন ।

এরপর দ্বিতীয় সারির কিছু মাদ্রাসার নাম বললেন, কিন্তু কিছুতেই কোন প্রাইভেট মাদ্রাসায় ভর্তি হতে নিষেধ করলেন ।



আমি বাড়ি না গিয়ে উত্তরায় থেকে প্রস্তুতি নিতে থাকলাম । দু-বেলা নিজ হাতে রান্না করে খেয়ে -দেয়ে এতো সময় হতো না যে নির্বিচ্ছন্ন পড়বো । তার ভেতরে আবার ইসমাঈল ভাই (বড়ো ভাইয়ের কলিগ ---কি কাজে যেন থেকে গিয়েছিলেন উত্তরাতে আমার সাথে ) তার বেজায় জ্বর এলো । তাকে সেবা করা, আবার বাজার করা, (এবং যারা উত্তরা থাকেন কেবল তারাই বলতে পারবেন যে উত্তরায় কাচামাল মেলানো কত কঠিন ), রান্নাকরা, পড়ার সাথে সব গুলিয়ে যাচ্ছিল ।

রোজা রেখে এতো প্যারায় সত্যি নিজেকে নিজেরি মায়া লাগছিলো । হঠাৎ Ismail Hossen ভাইয়ের জ্বর এতো বাড়লো যে তিনি গ্রামে ঈদ করতে যাবার শক্তি হারিয়ে ফেললেন । সেদিন ছিলো ২৮ রমজান । আমি তাকে ডাক্তারের কাছেও নিতে পারছিলাম না ।

নিজে যে ঔষধ বুঝি, তাই এনে পরিক্ষা করছিলাম, কিন্তু কিচ্ছু হচ্ছিল না । পরদিন ২৯ রমজান, বড়ো আপু, আম্মা, ভাইয়া, ছোট আপু দুই দুলাভাই সহো সবাই মানিকগঞ্জ যাবার জন্য তাড়া দিচ্ছিল ।

কিন্তু এই অচেনা শহরে ইসমাঈল ভাইকে একা ফেলে শুধু মাত্র ঈদ করার জন্য আমার মানিকগঞ্জ যেতে মন চাচ্ছিল না । ২৯ রমজানে ইফতারির পর চাঁদ দেখা দিলো । সবাই ঈদের আমেজে আনন্দিত । এদিকে ইসমাইল ভাইয়ের কোন পরিবর্তন নেই । আমাদের দূর্সম্পর্কিয় এক ডাক্তার মামাকে ফোন দিয়ে কিছু ঔষধের নাম নিলাম । এবার কাজ হলো । তার জ্বর কমলো ।

আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ঈদের দিন সকালে যার যার বাসায় যাবো । সে মতে ঈদের দিন ভোর ৩-৪০এ আমি ঢাকা ছাড়লাম । কিন্তু একটা ভুল করেছিলাম, তা হলো ইসমাঈল ভাইকে রেখে আসা, তাকে গাড়ি না চড়িয়ে দেওয়া । ঈদের দিন সকালে তিনি আবার জ্বরে আক্রান্ত হন । আমি মানিকগঞ্জ ৬টায় পৌছে গেলাম ।

তাকে ফোনে না পেয়ে ভাবলাম যে তিনিও মনে হয় বাড়ির গাড়ি ধরেছেন । কিন্তু তিনি বেরতেই পারেন নাই । আমি অবশ্য আগের দিন অর্থাৎ ২৯ রমজান তার জন্য কিছু কুকিজ, ব্রেড, কলা কিনে রেখে এসেছিলাম । পরে জেনেছি যে তিনি ঈদ ঐ বাসি ব্রেড, কলা দিয়ে পার করেছেন । আমি ঈদ কাটালাম আমার ভাগনে-ভাগনিদের সাথে ।

ঈদের পরদিন যখন ঢাকায় ফিরলাম, তখন দেখি ইসমাঈল ভাইয়ের প্রচণ্ড জ্বর । তাকে বহু কষ্টে ধরে ধরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম । ডাক্তারের কাছ থেকে ফেরার তিনদিনের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন । আর এভাবে শেষ হলো আমার ভর্তি পরিক্ষা প্রস্তুতি ।

.৪

দেখতে দেখতে আকবর কমপ্লেক্সে ভর্তি পরিক্ষার দিন চলে এলো । আমাদের বন্ধুদের মাঝে একটা যোগাজোগ ছিলো । বন্ধু Md Mahfujur Rahman Ifti ভাই ফোনে জানালেন যে ৫ই শাওয়াল পরিক্ষা, আমরা চার তারিখে আকবরে চলে গেলাম । সাথে বিছানা নেয়া হয়নি । তাই কেউ তোয়ালে বিছিয়ে, কেউ ব্যাগ মাথায়, কেউ বোতল মাথায়, কেউ বা খালি ফ্লোরে শুয়ে পড়লাম মসজিদের বারান্দায়, আমাদের ৬ জনের দল । কারন পরদিন জুম্মার নামাজ থাকায় পরিক্ষা ১১টায় শেষ করতে চেয়েছে কতৃপক্ষ । যে কারনে শুরু হবে সকাল ৮টায় । তাই আমারা যারা দুরের, তারা আগের রাতেই চলে এলাম । একটা সমস্যা হলো আকবরের আসপাশে কোন খাবার হোটেল নেই । এটা ছিলো খুবই বিরক্তিকর । কারন রুটি কলা কতো খাওয়া যায়...?

যাই হোক, আমরা পরদিন সকালে পরিক্ষা দিলাম ।

আমার পরিক্ষা মোটামুটি হলো যেমনটা প্রস্তুতি ছিলো আরকি , আমি ৮৫ বা এর কাছা কাছি উত্তর করেছিলাম । আমার চেয়েও ভালো যারা দিয়েছেন তারাই হতাশ । কারন কোটা মাত্র ২৫টি । আর পরিক্ষা দিয়েছে ৩০০ জন । ফলে আমি কোন রকম আশাই করলাম না আকবর ।

.

৫.

এরপর ৬ই শাওয়াল চলে গেলাম রাহমানিয়া বড়ো মাদ্রাসায় বেলা ১টায় , সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম যে পরিক্ষা হয়েগেছে সকালেই । ফলাফল শূন্য হয়ে গেলো পরিক্ষা দেবার আগেই । সেখান থেকে ছোটো রাহমানিয়া গেলাম কি খবর জানতে..! ৭ তারিখে সেখানে ভর্তি-ফর্ম দেবে ।

অগ্যতা আকবরে ফিরে গেলাম । সেখানে ছিলো আমাদের গতোকালের দলটা । যাদের কেউই টেকেনি আকবরে । কিন্তু আকবরের আশায় তারা অন্য কোথাও যায়নি । আমরা আবার সেভাবে, অর্থাৎ বালিশ ছাড়া ঘুমাবো, সেই সিদ্ধান্ত নিলাম । কারন পরদিন দেলোয়ার সাহেবের বুহুস আল-ইসলামিয়ায় পরিক্ষা দেব আমরা । সেখানে কোটা ১০টা । পরদিন ৭ই শাওয়াল অনেক মাদ্রাসায় পরিক্ষা থাকায় ভিড় কমছিলো বুহসে । কিন্তু আমি কেন যেন ভর্তি-ফর্ম তুলতে পারলাম না । আমার অন্য সাথিরা পরিক্ষা দিলো, ৪০ জনের মতো পরিক্ষার্থী । .



বুহুসে পরিক্ষা দিয়েই আমরা দ্রুতো ছুটলাম মারকাজুল ইসলামের উদ্দেশ্যে কেরানিগঞ্জের পথে । মুহাম্মদপুর থেকে সি,এন,জি করে কলাপাড়া, সেখান থেকে সিরাজ নগর গ্রামে । প্রায় ৮০ টাকা করে খরচ হলো আমাদের গাড়ি ভাড়া... । সেখানে পরিক্ষা দিলাম মৌখিক আগে , মাত্র এক জনই টিকলো আমাদের থেকে । সে লিখিত পরিক্ষা দিয়ে টিকতে পারলো না । সেদিন রাতে ছিলাম হুজুরদের বসার গদি দিয়ে । আমাদের দলে ছিলো মাহফুজ, জামাল,নোমান,আবু-সুফিয়ান ভাই, এবং আমি জহির । .

পরদিন ফজর পড়ে রওনা হলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে । সেখানে বিফল হলেও, মাহফুজ ভাই গড় ৮৫,আবু-সুফিয়ান ভাই ৭৪, রিফাত ভাই ৭০ নিয়ে উত্তির্ন হলেন লিখিত পরিক্ষায়, বুহসে., মুফতি দেলোয়ার সাহেবের প্রআইভেট মাদ্রাসায় ।

কিন্তু মৌখিকে সমস্যা । কারন মামা,খালু,বা চাচার ফোন নেই ।

.৭

এমনিতেই কোটা সংকট, তারপর যদি মামারা জোর খাটায়, তবে আর কিছুই করার, বা বলার নেই । আমি এর মাঝে উত্তরার একটা অপ্রসিদ্ধ মাদ্রাসায় প্রাইভেটে ভর্তি হলাম । ভর্তি খরচ ২৫০০ এর মতো, যার দুই হাজার টাকা আবার ধার করা Sheikh Maruf ভাইয়ের থেকে । এটা ছিলো ব্যাকাপ, বা শেষ ঠিকানা সরূপ । এর ফাকে বসুন্ধরায় চেষ্টা করলাম । এখানে দুর্বলতা উর্দুর । ফলে আবার অকৃতকার্য । আমার অন্যান্য সাথিরা যে যার মতো মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে নিচ্ছিল । কিন্তু মাহফুজ ভাই, আর রিফাত আমি যে মাদ্রাসায় ওটাই পছন্দ করলেন । তারাও তাড়াহুড়ো করে উত্তরার ঐ মাদ্রাসায় ভর্তি হলেন । আমাদের সবার পকেটের অবস্থা তখন করুন । .

৮.

ছয় সাতটা মাদ্রাসায় ঘুরে যখন নিরাশ আমরা, তখন একটা দোস্তের জোরের মতো উপায় আমাদের সামনে এসে গেল বন্ধু মোকাম্মেল ভাইয়ের হাত ধরে ।

তিনি আমাদের জন্য তার উস্তাদদের কাছে সুপারিশ করেছিলেন । তিনি মিরপুর ৬এর মারকাজ মাদ্রাসায় বিগত বছরে ইফতা (১ম বর্ষ) পড়েছেনন । এবং ভালো ছাত্র হবার ফলে উস্তাদের কাছেও তার আলাদা একটা গ্রহন যোগ্যতাও আছে । এদিকে আমাদের দলটা ততোদিনে ৬এর অর্ধেকে নেমে এসেছে । আমি (জহির), মাহফুজ ভাই, এবং রিফাত ভাই গেলাম Mokammel Mahmud ভাইয়ের কথা মতো মুফতি জিয়া সাহেবের মাদ্রাসায় । আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এখানে সুজোগ মিললো । এবং মিরপুর ৬এর এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে গেলাম । এখন কাজ বেডিং, জামা কাপড়, কিতাবাদি অন্যান্য আসবাব পত্র নিয়ে আসা ....!



পুনশ্চঃ আমাদের প্রতেক মাদ্রাসায় চড়া দামের ভর্তি-ফর্ম তুলতে হয়েছিল । গাড়ি ভাড়া, হোটেল বিল, থাকার কষ্টও প্রচুর হচ্ছিল । আমরা মনে হয় তিনদিন পরে মারকাজুল ইসলামে (কেরানিগঞ্জ) গোছল করেছিলাম । সেই সময়টা আসলেই স্বরনীয় । পরে যখন জানতে পারলাম যে আমারা ভর্তি-পরিক্ষায় অকৃতকার্য, তখন বৃষ্টি হচ্ছিল, এবং আমাদের গোছল করার ফলে কাপড় গুলোও ভেজাছিলো । বিষয়টা খুবই বিব্রতকর, যে বোর্ডে অকৃতকার্যদের নাম টানানো, সেটার সামনের রেলিংয়ে আমাদের কাপড় গুলো ছড়ানো ।

হোটেলের খাবার কিছু বন্ধুর শরিরের জন্য মুনাসিব (উপযুক্ত) হচ্ছিল না ।

তাদের কষ্টটা চিন্তা করতেই শরিরের রোম দাড়িয়ে যায় । আর তিন-চার মাদ্রাসায় অকৃতকার্য হবার সংবাদ বাড়িতেও বলা সম্ভব হচ্ছিল না । এবং বন্ধুদের অনেকেই যখন বারবার ফোন দিচ্ছিলো, কি হলো জানতে, তখন আমার নিজের কাছে নিজেকে নিতান্ত তুচ্ছ, ক্ষুদ্র,নিঃস্ব, এবংঅসহায় মনে হচ্ছিল ।

নিজের প্রতি আমার করুনা হচ্ছিল যে, আমার এত অধপতন..! আম্মা আমাকে বাড়িতে জোর করে রাখার ফলে অনুশোচনায় ভুগছিলেন । ছোট আপু আমাকে প্রতিবার ফোনে বকছিলেন, আর বড় আপু কিছুটা বিরক্ত ছিলেন । ভাইয়া ছিলেন সবচেয়ে রাগ, আমার সাথে ফোনে কথাই বলতে রাজি ছিলেন না..! কারন তারা আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন । আমি নিজেকে পরাজিত ভাবতে শুরু করছিলাম ।

সেই মুূহুর্তের কথা চিন্তা করলে আমার গা শিউরে উঠে..!

.বিঃদ্রঃ (আমরা কউমি মাদ্রাসায় বন্ধুদেরও ভাই বলে ডেকে থাকি)..!

. নিজের কথাগুলো নিজের মত করে লিখলাম..!

.

লিখা:- তালুকদার জহির

বিষয়: বিবিধ

৯৬৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383537
১১ জুলাই ২০১৭ রাত ১২:২০
এনাম বিন আব্দুল হাই লিখেছেন : আপনার লিখাটি পড়ে ২০০৮সালের কথা মনে পরলো। তবে এতকষ্ট করতে হয়নি। ছোট রাহমানিয়া থেকে ফারেগ হওয়ার পর নিজেদের রাহমানিয়াতে ভর্তির সুযোগ যখন হলোনা। পরামর্শ মোতাবেক দিলাম দৌড় আরজাবাদে। লিখিত পরিক্ষা হলো। পরিক্ষার্থী সম্ভবত ৮০/৯০জনের মত ছিলো। কোটা ২৫। টেনশন হচ্ছিলো। যাক কৃতকার্যদের তালিকায় নাম আসলো, শুকরিয়া আদায় করে ফরম নিয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File